‘Literacy With ICT`
‘Literacy With ICT’ কর্মসূচি : ঝিনাইদহ জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনন্য প্রয়াস।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৫০টি বছর পার করে এসেছে সে। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে বাইরের উৎসব আমেজে ভাটা পড়লেও তার মনের আবেগ, আনন্দ-শিহরণ চাপা থাকার/রাখার নয়। এই উৎসবকে আরও বর্ণিল করতে ঝিনাইদহ জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ কয়েক মাস আগে এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে Literacy With ICT নামে একটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় যার উদ্দেশ্য ছিল সকল শিক্ষককে ICT-তে literate করা অর্থাৎ তাঁদের যাতে ICT-র ন্যূনতম Basic Concept থাকে তা নিশ্চিত করা। প্রথমে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সাথে মিটিং (জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে) করে তাঁদেরকে বিষয়টি brief করা হয়। তাঁরা নিজ নিজ ক্লাস্টার থেকে ICT-তে দক্ষ, নিবেদিত, আন্তরিক ও উদ্যোগী শিক্ষক নির্বাচন করেন যাঁদেরকে ‘Master Trainer’ নাম দেওয়া হয়। এরপর জেলার মোট ৩৫টি ক্লাস্টারের ৭০ জন ‘Master Trainer’ এবং ৩৫ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নিয়ে এ বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন হয়, একটি কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। সকল শিক্ষকের মাঝে ICT-র Basic Concept ছড়িয়ে দিতে কোন্ কো্ন্ বিষয়ে তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে skilled করে গড়ে তুলতে হবে তার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়। তারপর প্রত্যেক বিদ্যালয় থেকে একজন করে উদ্যমী শিক্ষককে নির্বাচন করা হয় যাঁদেরকে ‘Key Trainer’ নামকরণ করা হয়। এভাবে জেলার মোট ৯০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৯০৮ জন ‘Key Trainer’ নির্বাচন করা হয়। ‘Master Trainer’-গণ নিজ নিজ ক্লাস্টারের ‘Key Trainer’-দের ২টি গ্রুপে ভাগ করে সপ্তাহে ৩ দিন প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর জেলার ৯০৮ জন ‘Key Trainer’ এবং ৭০ জন ‘Master Trainer’ ও ৩৫ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার – সব মিলে প্রায় ১০০০ জনকে ২ গ্রুপে ভাগ করে (৫০০ জন করে) প্রথম মতবিনিময় সভা করা হয়। ‘Key Trainer’-গণ একইভাবে সপ্তাহে ৩ দিন নির্ধারিত সময়সূাচি অনুযায়ী জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান নিজ নিজ বিদ্যালয়ের অন্যান্য সহকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। প্রথম দিকে সপ্তাহে ৩ দিন, তারপর ২ দিন এবং বর্তমানে সপ্তাহে ১ দিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ক্লাস্টারের সকল শিক্ষককে ২ ভাগে ভাগ করে ২ জন ‘Master Trainer’ প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন, ‘Key Trainer’-দের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকে। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষকের(প্রায় ৫,৩০০) সাথে মতবিনিময় করা হয়। প্রধান শিক্ষক এবং ‘Key Trainer’-দের সাথে আলাদা আলাদাভাবে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে।
কার্যক্রমের(Literacy With ICT) অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১১.০০টায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ‘Master Trainer’-দের সাথে মতবিনিময় করা হয় এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় জুম ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে।
গত ২ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে কিছু Assignments দেয়া হচ্ছে(নমুনা সংযুক্ত) যা সকল শিক্ষক solve/practice করছেন(বুধবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত)। এর মাধ্যমে কার্যক্রমের অগ্রগতি assessment করা সম্ভব হচ্ছে।
ঝিনাইদহের শিক্ষকদের এখন সকলেরই e-mail ID আছে, তাঁরা সবাই e-mail আদান-প্রদান(sending & receiving) করতে পারেন। তাঁরা যেকানো website-এ ঢুকে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য download করতে পারেন। dpe-র website-থেকে তাঁরা প্রয়োজনীয় নীতিমালা, circular ইত্যাদি download করেন। প্রয়োজন হলে NCTB-র website থেকে যেকোনো শ্রেণির যেকোনো বিষয়ের eBook, শিক্ষক সহায়িকা ইত্যাদি download করেন। তাঁরা জাতীয় তথ্য বাতায়ন থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা সম্পর্কে (জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, নামকরণ, দর্শনীয় স্থান, বিশিষ্ট ব্যক্তি, ব্রান্ডিং, বিশেষত্ব ইত্যাদি) জানছেন। ইতোমধ্যে ৫টি বিভাগের ৩৩টি জেলা সম্পর্কে অনুসন্ধান/জ্ঞানার্জন শেষ হয়েছে, অবশিষ্ট জেলাগুলো আগামী এক মাসে শেষ হবে। এভাবে ৬৪টি জেলা সম্পর্কে জানার মাধ্যমে তাঁরা আরও ভালোভাবে বাংলাদেশকে জানবেন যা তাঁদের দেশপ্রেমের চেতনাকে আরও গভীরতর করবে। তাঁরা you tube-থেকে যেকোনো গান/ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয় এমন নানারকম ভিডিও you tube-থেকে ডাউনলোড করে তাঁরা সংরক্ষণ করে রাখছেন। সঙ্গীত বিষয়ের পাঠ্যসূচিভূক্ত ১৩টি গান তাঁরা you tube-থেকে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করেছেন। তাঁরা ইন্টারনেট থেকে যেকানো বইয়ের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে পারেন। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপে তাঁদের প্রত্যেকের নামে একটি করে folder আছে। এই folder-এর মধ্যে আরও সাতটি folder আছে যাদের নাম যথাক্রমে personal, প্রাক-প্রাথমিক, ১ম শ্রেণি, ২য় শ্রেণি, ৩য় শ্রেণি, ৪র্থ শ্রেণি ও ৫ম থ্রেণি। personal folder-টিতে একটি file আছে যাতে তাঁর ব্যক্তিগত ও চাকুরিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আছে যা তিনি নিজেই তৈরি/compose করেছেন। শ্রেণিভিত্তিক folder-সমূহে তিনি যে যে শ্রেণির যে যে বিষয়ে পাঠদান করেন সে সব বিষয়ের digital content-সমূহ সংরক্ষণ করে রেখেছেন।
‘নগদ’-এর ওয়েব পোর্টালে উপবৃত্তি/সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর তথ্য এখন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিজেরাই online-এ এন্ট্রি করতে পরেন বাইরের কারও সহযোগিতা ছাড়াই। e-Primary School System-এ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিজেরাই entry/upload করেন এবং নিয়মিত update করেন। আগামী মাসে e-APSC-তেও বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য শিক্ষকগণ নিজেরাই update করবেন। এখন থেকে বিদ্যালয়ের সাময়িক/বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষক(যিনি যে বিষয়ে পড়ান) নিজেই বিদ্যালয়ের ল্যাপটপে compose এবং print করে প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দেবেন। উল্লেখ্য অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে printer সংগৃহীত হয়েছে, অবশিষ্টগুলোতে আগামী জুন মাসের মধ্যেই সংগৃহীত হবে। এছাড়া Online Book Demand-সহ ICT সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম এখন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ নিজেরাই সম্পাদন করার সক্ষমতা অর্জন করেছেন।
ইতোমধ্যে প্রায় সকল শিক্ষক `শিক্ষক বাতায়ন’-এর সদস্য হয়েছেন। অধিকাংশ শিক্ষক ‘মুক্ত পাঠ’-এ রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন online course সম্পন্ন করছেন, অবশিষ্ট শিক্ষকগণও খুব তাড়াতাড়ি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন। আগামী ২/১ মাসে তাঁরা ICT-related আরও কিছু বিষয়ে literate/skilled হবেন, যেকোনো Apps তাঁরা operate করতে পারবেন বলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে গভীরতর হচ্ছে।
১ম-৫ম শ্রেণির NCTB-র পাঠ্যপুস্তকগুলো থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি বিষয়ের বইগুলো একবার করে thoroughly পড়ে দেখছেন শিক্ষকগণ। পুরো জেলাব্যাপী সকল শিক্ষক একই সাথে একই বিষয়ের বই পড়ছেন, যেমন এ সপ্তাহের নির্ধারিত বিষয় – সঙ্গীত, গত সপ্তাহে ছিল বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। মঙ্গলবারের সাপ্তাহিক মতবিনিময় সভায় পরবর্তী সপ্তাহের বিষয়সহ Assignments নির্ধারিত হয়।
এছাড়াও গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ‘দীপ জ্বেলে যাই: বই পড়ি – বিশ্বকে জানি, নিজেকে জানি’ নামে একটা `facebook group’ খোলা হয়েছে যেখানে ধীরে ধীরে সকল শিক্ষক যুক্ত/সদস্য হচ্ছেন। শিক্ষকদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জন্যই এই উদ্যোগ। কালজয়ী/চিরায়ত গ্রন্থগুলোর পরিচিতি তুলে ধরা হচ্ছে একটি একটি করে এই গ্রুপে। ধীরে ধীরে কালজয়ী গান ও কবিতাগুলোর সাথেও পরিচিতি ঘটবে/পর্যালোচনা হবে এই গ্রুপের মাধ্যমে।
পৃথিবীর মানুষ যখন মঙ্গল গ্রহে কলোনি স্থাপনের স্বপ্নে বিভোর সেই মুহূর্তে ICT-তে Basic Concept থাকা বা literate হওয়ার বিষয়টি বড় মুখ করে বলা হাস্যকর মনে হলেও বাস্তবতা হলো – সেপ্টেম্বরের শুরুতে যখন এই উদ্যোগ নেয়া হয় তখন অন্তত ৩০% শিক্ষকের কোনো Android Mobile Phone ছিল না। যাঁদের ছিল তাঁদের অন্তত ৫০% ঠিকমত Operate করতে পারতেন না, ন্যূনতম কিছু function-ও জানতেন না। অন্তত ৯০% বিদ্যালয় তাদের ICT related কাজগুলো বাইরে থেকে অন্যের মাধ্যমে সম্পন্ন করতেন। সেজন্যই আজকের অবস্থানটা বড় মুখ করে বলার মতো ঔদ্ধত্য দেখানোই যায়।
ICT-তে ন্যূনতম Basic Concept থাকায় এখন শিক্ষকদের আত্মবিশ্বাস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাঁদের বাহ্যিক অভিব্যক্তিতে পরিবর্তন এসেছে, পরিবর্তন এসেছে দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং ব্যক্তিত্বেও। তাঁরা মুখিয়ে আছেন বিদ্যালয় খুললে শ্রেণিকক্ষে এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক কা্র্যক্রমে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্যে। গতানুগতিক পদ্ধতির পাঠদান থেকে তাঁরা চিরদিনের মতো বের হয়ে আসবেন বলে সংকল্পবদ্ধ হচ্ছেন।
আপাতদৃষ্টিতে তাঁদের অর্জনকে সামন্য মনে হল্ওে, শ্রেণিকক্ষে যখন এর প্রতিফলন ঘটবে তখন এর পরোক্ষ প্রভাব হবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, অনেক সুদূরপ্রসারী। ২০৪১ সালের যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি সেই দেশটা পরিচালনা করার জন্য আজকের শিশুদেরেকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাঁদের এ অর্জন গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে তাঁরা মনে করেন। এই দেশকে গড়ে তোলার কাজে তাঁদের এই অর্জন ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে – এই ভেবে তাঁরা গর্বিত।
এই Literacy With ICT কর্মসূচিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ‘Master Trainer’-বৃন্দ। কোনো প্রশংসাই তাঁদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাঁদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, আগ্রহ, পরিশ্রম, ত্যাগ ছাড়া এই অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। ‘Key Trainer’-দের তৎপরতা, আন্তরিকতাও প্রশংসনীয়। সাধারণ শিক্ষক যাঁরা শুধু শিখেছেন তাঁরাও প্রশংসার দাবীদার।
আমাদের প্রিয় এই দেশটা স্বাধীন করার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঝিনাইদহ জেলার শিক্ষকবৃন্দ(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের) তাঁদের এই অর্জনকে উৎসর্গ করছেন। তাঁদের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবকে আরও রাঙিযে দেবে।
Assignment-এর নমুনা:
Literacy With ICT বিষয়ক assignment: সময়কাল- ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ।
১। ক) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের website-থেকে চলতি মাসে ইস্যুকৃত কোন চিঠি/প্রজ্ঞাপন download করে তা নিজের ই-মেইল আইডি থেকে সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং Master Trainer-কে send করতে হবে।
খ) ইন্টারনেট থেকে যেকোন একটি বই ডাউনলোড করে মোবাইল/ল্যাপটপে ‘ই-বুক’ নামক folder-এ সংরক্ষণ করতে হবে।
গ) NCTB-র website থেকে সকল শ্রেণির ‘সঙ্গীত’ বিষয়ের শিক্ষক নির্দেশিকা ডাউনলোড করে মোবাইল/ল্যাপটপে ‘ই-বুক’ নামক folder-এ সংরক্ষণ করতে হবে।
ঘ) `you tube’ থেকে পাঠ্যসূচিভূক্ত যেকোনো একটি গান এবং শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে দেখানো যায় এরকম শিক্ষামূলক কোনো ভিডিও download করে folder-এ সংরক্ষণ করতে হবে।
২। ক) ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ থেকে রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলা সম্পর্কে জানতে হবে।
খ) বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন-এর ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
৩। ক) বিদ্যালয়ের ল্যাপটপে নিজের নামে একটি folder ক্রিয়েট করতে হবে। এই folder-এর মধ্যে আরও ৭টি folder থাকবে যাদের নামকরণ হবে যথাক্রমে- personal, প্রাক-প্রাথমিক, ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম নামে।
খ) personal folder-টিতে ‘চাকুরি সংক্রান্ত তথ্য’ নামে একটি file ক্রিয়েট করে সেখানে নিজের বায়োডাটা এবং চাকুরিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। এটি নিজেকেই বিদ্যালয়ের ল্যাপটপে compose করে তৈরি করতে হবে।
গ) সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যে শ্রেণির যে বিষয়ে পাঠদান করেন, সেসব বিষয়ের digital content-সমূহ শ্রেণিভিত্তিক ফোল্ডারে সংরক্ষণ করতে হবে।
৪। ক) শিক্ষক বাতায়নে সদস্য হতে হবে নিজে নিজে এবং নিয়মিত সক্রিয় থাকতে হবে।
খ) ‘মুক্তপাঠ’-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে online কোর্সসমূহ সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
NCTB প্রণীত পাঠ্যপুস্তকসমূহ পড়াসংক্রান্ত assignment: সময়কাল- ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ।
সকল শ্রেণির সঙ্গীত বিষয়ের শিক্ষক নির্দেশিকাগুলো পড়ে দেখতে হবে। শুরুতে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির সঙ্গীত বিষয়ের শিক্ষক নির্দেশিকার সূচিপত্র একসাথে সামনে সাজিয়ে রেখে ১০ মিনিট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে পর্যায়ক্রমে উপরের শ্রেণিগুলোর ধারাবাহিকতা অনুধাবন করা যায়। এরপর relax mood-এ একবার thoroughly পড়ে গেলেই হলো (ধারাবহিকভাবে নিচের শ্রেণি থেকে উপরের শ্রেণি)।
পড়ার সময় সঙ্গীত বিষয়ের প্রান্তিক যোগ্যতাসমূহ এবং প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য যদি মাথায় থাকে তাহলে খুবই ভালো হয়। কারণ বিষয়বস্তুর কোন্ প্রান্তিক যোগ্যতা বা লক্ষ্যের কোন্ অংশের সাথে সম্পর্কিত তা বুঝতে পারা খুব আনন্দের ব্যাপার।
জনাব লক্ষ্নণ কুমার দাশ
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
ঝিনাইদহ।